দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দৃষ্টিশক্তি রক্ষা এবং চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবারের নিয়মিত ব্যবহার আপনার চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। এই রঙ্গিন জগৎকে দেখলে কি চোখ দিয়ে মনোযোগ দিতে হয় না? চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবার যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে পারে~
1. গাজর
গাজর একটি সুস্বাদু সবজি। প্রধানত কাঁচা খাওয়া। এটি বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ, যা শরীর ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত করে। এটি রেটিনার স্বাস্থ্য এবং কম আলোর দৃষ্টি বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন এ-এর অভাবে রাতের ঘাম এবং চোখ শুষ্ক হতে পারে। গাজর নিয়মিত সেবন চোখের সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
2.পালং শাক
পালং শাকে রয়েছে লুটেইন এবং জেক্সানথিন, ক্যারোটিনয়েড নামে পরিচিত দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ক্ষতিকারক আলো এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রেটিনাকে রক্ষা করার জন্য এই পুষ্টি অপরিহার্য। এটিতে ভিটামিন সিও রয়েছে, যা ছানি এবং ম্যাকুলার অবক্ষয়ের ঝুঁকি হ্রাস করে চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।
3. মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু বিটা-ক্যারোটিনের আরেকটি চমৎকার উৎস। এতে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চোখের প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এই পুষ্টির সমন্বয় কর্নিয়ার স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে, শুষ্ক চোখের সিন্ড্রোম প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে পারে।
4. বাদাম এবং বীজ
বাদাম এবং বীজ যেমন বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ এবং ফ্ল্যাক্সসিড ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার উৎস। এতে ভিটামিন ইও রয়েছে। ওমেগা-3 রেটিনার কাঠামোগত অখণ্ডতা বজায় রাখতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যখন ভিটামিন ই একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে, চোখের কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আপনার খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ যোগ করুন।
5. ডিম
ডিমে রয়েছে পুষ্টিগুণ যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি লুটেইন এবং জেক্সানথিন সমৃদ্ধ, যা ক্ষতিকারক নীল আলো ফিল্টার করতে এবং রেটিনাকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। ডিমও জিঙ্ক সরবরাহ করে, যা রেটিনার স্বাস্থ্য এবং ম্যাকুলার অবক্ষয় বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
Good post 👏